আতশবাজি ফুটিয়ে ইরান যেভাবে আমাদের বোকা বানাচ্ছে !!

সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকে ইরানের আক্রমন নিয়া ফ্যান্টাসাইজ করতেসেন, মানে সব থেকে বড় ধোকা খাইতেসেন এক প্রকার।

এই বিষয়টা নিয়ে কয়েকদিন আগে বড় ভাই এর সাথে আড্ডা চলতেসিল ইরান আক্রমন করবে কিনা করবে না।

যারা ব্যাসিক ইন্টারন্যাশেনাল রিলেশন বুঝেন তাদের কাছে এইটা পরিস্কার যে ইরানের আক্রমন একটা ইন্টারন্যাশেনাল আইওয়াশ আর এই আইওয়াশ ইরানের নিজের স্বার্থেই । এইখানে যতটা না ফিলিস্তিনি ইস্যু ছিল তার থেকে বেশি নিজের ডোমিনেশন ফ্যাক্টর ছিল।

জিনিসটা আরো পরিষ্কার করি,

প্রত্যেকটা দেশের ইন্টারন্যাশেনাল রিলেশন এর ক্ষেত্রে তিনটা কোর প্রিন্সিপাল থাকে

  • ডমিনেন্স
  • রেসিপ্রোসিটি
  • আইডেন্টিটি

ডমিনেন্স ব্যাসিক্যালি প্রত্যেক দেশ চায় সে তার আশে পাশের সব দেশ কন্ট্রোল করুক। তার কথায় উঠুক বসুক। ডমনেন্স এর ক্ষেত্রে মুল লক্ষ্য হায়ায়ার্কি সৃষ্টি করা । যেমন আমেরিকা সব সময় চায় যেমন প্রত্যেকটা দেশ তাকে সহীহ করুক । সবার ইন্টার্নাল ম্যাটারে তার একটা অবজার্ভেশন থাকে ।

রেসিপ্রসিটি ব্যাসিক্যালি, “if you scratches my ass I will yours also” অথবা “Eye for a eye”.। জিনিসটা সহজে ব্রেকডাউন করলে দাঁড়ায় আপনি আমাকে হ্যাল্প করলে আমিও আপনাকেও হ্যাল্প করব নাহলে খুনের বদলা । তার মানে জিনিসটা পজিটিভ নেগেটিভ উভয়ই।

তার মানে ইরান এর সাথে কিভাবে সম্পর্কযুক্ত?

যদি মধ্যপ্রাচ্য এর বিগত সংঘাত এবং রাজনীতির পর্যালোচনা করেন দেখবেন ইরান রিজিওনাল ডমিনেন্স হোল্ড করার জন্য সব থেকে বড় কম্পিটিটর।

ইরান রিজিওনাল পাওয়ার হোল্ড করার ওয়ে দেখলো মিলিটারি পাওয়ার এডপ্ট করা। সে পারমানবিক পরিক্ষন থেকে শুরু করে সব করলো। পৃথিবির সাথে তাল মিলিয়ে মিলিটারি ইনোভেশন এক্সপেন্ড করলো। সে সেগুলো শো অফ করা শুরু করলো। জাস্ট বিকজ টু হোল্ড দ্যা ডমিনেন্স।

তবে এই পাওয়ার হোল্ড করতে গিয়ে সব থেকে বড় কাটা হইলো ইসরায়েল। ইসরায়েল গুপ্ত হত্যা চালিয়ে একাধিকবার ইরানের গুরত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পরমানু বিজ্ঞানী স্লোটার করসে জাস্ট ইরানের ঘুরে ঢুকে।

(জানার জন্য : গুপ্তহত্যার সাথে পৃথিবীকে প্রথম পরিচয় এবং তার প্রচলন শুরু করে শিয়া সম্প্রদায়, তৎকালীন সময়ে সুন্নি খিলাফত সেলজুক,মামলুক,জেংি,আইয়ুবী সহ তাদের বহু আমির, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হত্যার শিকার হয়েছেন। ইতিহাসের কি নির্মন পরিহাস এখন তাদেরকে এইভাবেই সাইজ করা হয়। আরো বিস্তারিত জানার জন্য ” শয়তানের বেহেস্ত ” পড়তে পারেন। )

বাট তখনো ইরান কোন একশন নে নাই, কিন্তু ব্যাসিক প্রিন্সিপাল হিসেবে সরাসরি ইসরায়েল হিট ব্যাক ডিজার্ভ করে।

প্রথমত এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাকর ইরান চায়নি এইটা ক্লিয়ার হোক।

আমেরিকা নানাভাবে এলিগেশন দিয়া আসতেসিল তারা পরমানু বোমা বানাচ্ছে ।

তখনকার সাম্প্রতিক সময়ে বর্তমানের মত উত্তেজনা ছিল না ফলে তা অতটা বেশি স্প্রেড হয় নাই ।

ফরে ইরান চুপচাপ দাত কামড় দিয়ে সহ্য করে গেছে।

তারপরেও ইরান ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় সে নানাভাবে চুরিচামারি করে হুতি,হামাস,হিজবুল্লাহ এর মত সংঠনকে মিলিটারি সহায়তা দে ।

বাট ইরান কোন ভাবে ইনভলভ থাকে না, শ্যাডো ফাইট টাইপের আরকি, যদি কোন এলিগেশন আছে জাস্ট পলিটিক্যালি ডিনাই করে যাওয়া হচ্ছে কাজ। এমনকি মধ্যপ্র‍্যাচ্যের দেশগুলো যখন ইসরায়েল এর সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে যাচ্ছিল। এইখানে সব থেকে বড় থ্রেট ছিল ইরানের জন্য। এই জন্য ঠিক হামাসের হামলা হইসে সৌদি-ইসরায়েল চুক্তির জন্য বৈঠক হওয়ার সাপ্তাহখানেক আগেই।।

এইখানে ক্লিয়ার যে ইরান আপারহ্যান্ড পাইসে।

তাহলে এমন কি হইলো ইরান কালকে হামলা করে বসলো? এইটা মুসলিম ব্রাদারহুড আইডেন্টিটির স্বার্থে?

একচুয়ালি না -!

উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যে এখন প্রায় কিছু ঘটলেই নিউজ হচ্ছে ।

সেই বরাতে জানা যায় সিরিয়ায় ইসরাইলি এয়ার স্ট্রাইকে ইরানের কন্স্যুলেট ভবনের ভিতরে থাকা ইরানের তিনজন জেনারেল সহ আরো কয়েকজন ইরানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মারা যায়।

এই এট্যাক এর মাধ্যমে স্পস্টভাবে ইরানের সামরিক এবং ইন্টিলিজেন্স দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

এখন যদি ইসরায়েল হিটব্যাক না করে আন্তর্জাতিক ভাবে তাদের মিলিটারি এন্ড টেকনোলোজিক্যাল ইনোভেশন নিয়ে বছরের পর বছর ফাপড়বাজি করা সব ব্যার্থ আর ইন্টারন্যাশনাল ভাবমুর্তি জাস্ট ডাউন। আর নাহলে তাকে এখন যেসব দেশ সমীহ করতেসে তাকে প্রায়োরিটি দিচ্ছে যেই এটেনশন সে হারাবে। এখন এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার ওয়ান এন্ড অললি অপশন হিটব্যাক করা। ইরান তাই করসে।

জাতিভিত্তিক রাস্ট্র তৈরী হওয়ার পর কোন রাস্ট্রের এত পরিমান এর তেল হয় নাই যে ইনক্লিউডিং সৌদি,কাতার……. ফিলিস্তিনি ভাইয়ের স্বার্থে গিয়ে ইসরায়েল বিপক্ষে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবে।

ফিলিস্তিনির প্রতি ভালবাসা নেই এমন না ঐ বিবৃতি পর্যন্ত..

সব শেষে লিখা শেষ করছি ইরানের বিবৃতিতে দিয়ে ” If Israel does not response, the Event is over “.

0 Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You May Also Like

The Matrix Trilogy — ফুল কনসেপ্ট এক্সপ্লেইন্ড | সায়েন্টিফিক থিওরি | ইন্ডিং এক্সপ্লেইন্ড উইথ প্যারাডক্স | ফ্যাক্টস

কেউ চাইলে নির্দ্বিধায় আমার লিখা এই আর্টিকেল টি শেয়ার করতে পারেন। আমার কোনো আপত্তি নেই। সাই-ফাই মুভিপ্রেমিদের মুখে…

স্যানিটারি ন্যাপকিন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

প্রতিটি নারীর জীবনে মাসিক একটি অতি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার হলেও বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ বিষয়টি এখনো যেন অত্যন্ত…