অনেক ভাষাবিজ্ঞানী মনে করেন প্রথম দিকে পৃথিবীতে মাত্র ২৬ টি ভাষা প্রচলন ছিল । এই ২৬ টি ভাষার মধ্যে ভারত ও ইউরোপ এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে ভাষাটি প্রচলিত ছিল তার নাম ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা। ইউরোপীয় ভাষার শতম শাখা থেকে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে ইন্ডিয়া বাংলা ভাষা উদ্ভবের সংক্ষিপ্ত রূপ তুলে ধরা হলো
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকাঃ
- ভাষাতাত্ত্বিক পৃথিবীর সমস্ত ভাষাকে 26 টি ভাষাবংশ গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছেন
- বাংলা শতম ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
- স্যার জর্জ গ্রিয়ারসন এর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি মাগধী প্রাকৃত থেকে। ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই মত সমর্থন করেছেন।
- ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি গৌড়ীয় প্রাকৃত বা গৌড়ীয় অপভ্রংশ থেকে
বাংলা ভাষাঃ
অধিকাংশ ভাষাবিদ-এর মতে, খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীতে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। বিশ্বে ভাষা নিয়ে গবেষণা ও অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান ‘Ethnolague Languages of the World’ -এর ২৪তম সংস্করণ অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে ৭,১১৭ ভাষা প্রচলিত রয়েছে। তার মধ্যে ভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলা পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহৎ মাতৃভাষা। চীনের মান্দারিন ভাষা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষের মাতৃভাষা। দাপ্তরিক ভাষা বা অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে বিশ্বে ইংরেজি ভাষার স্থান প্রথম।পৃথিবীতে একমাত্র বাঙালি জাতিকেই ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির ভাষা দিবস (ভাষা শহিদ
দিবস)। অনেক রক্তক্ষয় ও সংগ্রামের পর তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে মর্যাদা প্রদান করে।